বাংলাদেশের অনুরোধেই এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ
![](https://malaysia.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/02/10/1.png?itok=qPfpj9Mo×tamp=1644492838)
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেতুক সেরি হামজা জাইনউদ্দিন এই খবর নিশ্চিত করেছেন। মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম দ্যা স্টার আজ এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলো মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমটি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেতুক সেরি হামজা জাইনউদ্দিন উদ্ধৃত করে বলে, গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, প্রক্রিয়া মেনেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেতুক সেরি হামজা জাইনউদ্দিন জানান, বাংলাদেশে করা এম খায়রুজ্জামানের অপরাধ এবং তার দেশের অনুরোধের ভিত্তিতেই মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে গতকাল বুধবার দেশটির কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে এম খায়রুজ্জামানকে আটক করা হয়। সূত্র জানায়, তাকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।
এম খায়রুজ্জামানকে আটক হওয়ার পর তার নোটিশে আইনজীবী এ এস ডালিওয়াল নোটিশে উল্লেখ করেন, মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান (ইউএনএইচসিআর কার্ড নম্বর ৩৫৪-১০সি০২২৬৭) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই আটক করেছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী হিসেবে খায়রুজ্জামানের মালয়েশিয়ায় থাকার অধিকার রয়েছে। খায়রুজ্জামানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দেওয়া হলে রিট করবেন বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন, পরে খালাস পান। খালাস পাওয়ার পর ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফিরতে আহ্বান জানায় এবং পরবর্তী সময়ে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। পরে খায়রুজ্জামান তাঁর জীবনের ঝুঁকি অনুমান করে কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) কাছে যান এবং মালয়েশিয়ায় তার অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পরিচয়পত্র পান।