মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের ফ্রেজারস হিল মনে হবে এক খন্ড ইংল্যান্ড
![](https://malaysia.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/07/25/cover02.jpg?itok=Nl7BGCke×tamp=1595689041)
পাহাং হচ্ছে মালয়েশিয়ার সারাওয়াক ও সাবার পর তৃতীয় বৃহত্তম রাজ্য।এটি পাহাং নদীর মোহনায় অবস্থিত।এর পূর্বে কেলান্তান রাজ্য, পশ্চিমে পেরাক, শেলানগর ও নেগেরি সিমবিলান রাজ্য, দক্ষিণে জহর রাজ্য এবং উত্তরে তেরেঙ্গানু রাজ্য ও দক্ষিণ চীন সাগর অবস্থিত। ছায়া ঘেরা মনোরম পরিবেশের জন্য পাহাং রাজ্য পর্যটকদের কাছে খুব প্রিয়।পাহাং রাজ্য একটি জায়গা আছে তার নাম ফ্রেজারস হিল। অত্যান্ত সুন্দর একটি জায়গা। মনে হবে ছোট একটা ইংল্যান্ড।
![](https://malaysia.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2020/07/25/01.jpeg?itok=DwYeoqgF×tamp=1595689092 687w)
ফ্রেজার’স হিল কুয়ালালামপুর এর ১০০ কিঃমিঃ উত্তরে পাহাং সেলেঙ্গর সীমান্তে অবস্থিত। ফ্রেজার হিল এর নামকরণ করা হয়েছিল স্কটিশ অ্যাডভেঞ্চারার লুই জেমস ফ্রেজারের নামে, যিনি ১৮৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সোনার সন্ধানে এই অনাবৃত পাহাড় গুলিতে প্রথম প্রবেশ করেছিলেন।
১৯১৭ সালে অনেকটা রহস্যজনকভাবে ফ্রেজার হারিয়ে গেলে একটি তল্লাসি দল এখানে আসে এবং হিল ষ্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ১৯২২ সালে জঙ্গলে সাথে বাইরের এক্সেস রোড হ্যাকড হয়ে গেলে ব্রিটিশ শাসকেরা ফ্রেজারস হিলে একটি ক্লক টাওয়ার, পুলিশ ষ্টেশন, পোষ্ট অফিস ও বাংলো স্থাপন করে পুনরায় অনুসন্ধানের চেষ্টা করে।
![](https://malaysia.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2020/07/25/03.jpg?itok=zMAyXTov×tamp=1595689092 687w)
তবে পর্যটকরা গাড়ি নিয়ে বের হতে হবে। কারণ কোথাও কোনো পেট্রোল স্টেশন নাই। ভ্রমণের আগেই গাড়িতে পেট্রোল ভোরে নিতে হবে। কুয়ালালামপুর থেকে ফ্রেজারস হিলে আসতে একজন পর্যটকের দুই ঘন্টা সময় ব্যায় হতে পারে। তবে ড্রাইভার ভালো হতে হবে। আঁকাবাঁকা ,উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি ড্রাইভ করে ফ্রেজারস হিলে আসতে হবে।
![](https://malaysia.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/07/25/04.jpg?itok=qQPTXB7W×tamp=1595689092)
বুকিট ফ্রেজারের গড় উচ্চতা ১২০০ মিটার এবং উচ্চতা ১৫০০ মিটার। সাধারণত ১৮ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা থাকে।যদি রাতে ফ্রেজারস হিলে কেউ থাকতে চায় তাকে অবশই হালকা শীতের কাপড় নেওয়া উচিত।এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল ও বাংলো রয়েছে।
![](https://malaysia.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/07/25/05.jpg?itok=TT6i-FDO×tamp=1595689092)
ফ্রেজারস হিলে ব্রিটিশ আমল থেকে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। আপনি অবশ্য ক্লক টাওয়ারের সামনে ছবি তুলবেন। পাহাং এবং সেলাঙ্গর এর সীমানা খুটির সামনে ছবি তুলবেন। এছাড়া গলফ, হাইকিং, পাখি দেখাতো আছেই। বিনোদনের জন্য আপনি ঘোড়ায় চড়া বা প্যাডেল বোটিং করতে পারেন। ফ্রেজারস হিলের রাস্তাগুলোর নাম ব্রিটিশদের নামে নামাকরন করা।
![](https://malaysia.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/07/25/07.jpg?itok=7KpMM-EF×tamp=1595689092)
ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানে পুলিশ ষ্টেশন আর ডাক অফিস রয়েছে।এখানে রয়েছে সুঙ্গাই চিলিং ওয়াটার ফল ,সুঙ্গাই পেরাক ওয়াটার ফল ,নামাজের জন্য চমৎকার একটি মসজিদ ও অবসর কাটানোর জন্য একটি কমিউনিটি লাইব্রেরী রয়েছে।
![](https://malaysia.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2020/07/25/06.jpg?itok=xGwvQCy7×tamp=1595689092 687w)
আপনি যদি দীর্ঘ সময়ের হিল ট্র্যাকিং এ যেতে চান তবে অবশ্যই টুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টারে নিবন্ধন করুন।যেহেতু এটি মুল শহর থেকে অনেক দূরে তাই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে । বিশেষ ভাবে রাতে আপনার গাড়িকে নিরাপদ যায়গায় রাখুন।